Back to Resources
Published: 06.17.2015

Bengali News Sources: WB has joined with Delta plan : MoU signed

3 articles from Bangladesh Newspapers (Language Bengali)

News source: Janakantha Bangladesh

WB has joined with Delta plan : MoU signed

ডেল্টা প্ল্যানে যুক্ত হলো বিশ্বব্যাংক ॥ সমঝোতা চুক্তি সই
তারিখ: ১৭/০৬/২০১৫
•নদীভাঙ্গন রোধে বিশেষ ব্যবস্থা নিতে হবে ॥ অর্থমন্ত্রী
অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ পানি সম্পদ নিয়ে ১০০ বছরের পরিকল্পনা (ডেল্টা প্ল্যান) বাস্তবায়নে যুক্ত হলো বিশ্বব্যাংক। এ লক্ষ্যে সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। এর মধ্য দিয়ে সংস্থাটি দীর্ঘমেয়াদী এ পরিকল্পনা তৈরি এবং পরবর্তীতে বাস্তবায়ন পর্যায়ে সহযোগিতা প্রদান করবে। মঙ্গলবার রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে এ চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। সমঝোতা স্মারকটি স্বাক্ষরের দিন থেকে কার্যকর হবে এবং তিন বছর মেয়াদে থাকবে। তবে স্বাক্ষরকারী কর্তৃপক্ষের লিখিত অনুমতি সাপেক্ষে পরবর্তীতে এর কার্যক্রম বাড়ানো যাবে বলে জানানো হয়েছে। অন্যদিকে নেদারল্যান্ডসের সঙ্গে নদীর তীরের ভূমি উদ্ধার, রক্ষা এবং কার্যকর ব্যবহার সংক্রান্ত একটি সহযোগিতা চুক্তিও স্বাক্ষরিত হয়েছে।
অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত, নেদারল্যান্ডসের বাণিজ্য ও উন্নয়ন সহযোগিতা মন্ত্রী লিলিয়েন পলিউমেন, বিশ্বব্যাংকের পক্ষে প্রোগ্রাম লিডার লিয়া সির্গাট এবং বিশ্বব্যাংক গ্রুপের প্রতিষ্ঠান আইএসসি ২০৩০ ওয়াটার রিসোর্স গ্রুপের নির্বাহী পরিচালক এ্যান্ডারস ব্যারেনটেল নিজ নিজ দেশ ও প্রতিষ্ঠানের পক্ষে চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন। অনুষ্ঠানে পরিকল্পনা তৈরির বিষয়টি এখন কোন পর্যায়ে রয়েছে এবং এর আনুষঙ্গিক বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন সাধারণ অর্থনীতি বিভাগের (জিইডি) সদস্য (সিনিয়র সচিব) ড. শামসুল আলম। বক্তব্য রাখেন অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের অতিরিক্ত সচিব ও বিশ্বব্যাংক উইংয়ের প্রধান কাজী শফিকুল আযম। অনুষ্ঠানে কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী, পানি সম্পদমন্ত্রী আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, পরিকল্পনা বিভাগের সচিব মোহাম্মদ সফিকুল আযমসহ নেদারল্যান্ডস, বিশ্বব্যাংক ও সরকারের উচ্চপর্যায়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেন, নদী ভাঙ্গনের কারণে দেশে প্রতিবছর প্রচুর জমি নষ্ট হচ্ছে। এ দুর্যোগ যাতে কমে যায় সে বিষয়ে পরিকল্পনায় ব্যবস্থা নিতে হবে। স্বাদু পানির ব্যবহারের ক্ষেত্রে ভারসাম্যতা রক্ষা করতে হবে। কেননা এখন দেখা যাচ্ছে স্বাদু পানি পান করা ও কৃষি কাজে ব্যবহারসহ নানা ধরনের অপব্যবহার হচ্ছে। লবণাক্ততা বৃদ্ধির বিষয়টি তুলে ধরে মন্ত্রী বলেন, এ বিষয়ে গত কয়েক বছরে খাপ খাইয়ে নেয়া সংক্রান্ত কার্যক্রমে অগ্রগতি হয়েছে। যেমন লবণাক্ত সহনীয় ধান আবিষ্কার ইত্যাদি। তিনি আরও বলেন, এই বদ্বীপকে পূর্ণ কার্যকর করতে হবে।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রেক্ষাপটে দেশের পানি সম্পদ নিয়ে ১০০ বছর মেয়াদী পরিকল্পনার কাজ শুরু করেছে সরকার। বাংলাদেশ ডেল্টা প্ল্যান ২১০০ শীর্ষক এ পরিকল্পনা তৈরিতে সহায়তা দিচ্ছে নেদারল্যান্ডস। এ জন্য ইতোমধ্যেই দুই দেশের মধ্যে চুক্তির আওতায় নেদারল্যান্ডস এ পরিকল্পনা তৈরির জন্য ৪৭ কোটি ৪৭ লাখ টাকা অনুদান দিচ্ছে। সরকার সাম্প্রতিক কয়েক দশকে পানি সম্পদ, কৃষি, ভূমি ব্যবহার, মৎস্য ও বনসহ বিভিন্ন বিষয়ে পরিকল্পনা, নীতি, কর্মসূচী ও প্রকল্প গ্রহণ করেছে। যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে ন্যাশনাল ওয়াটার ম্যানেজমেন্ট প্ল্যান, ইন্টিগ্রেটেড কোস্টাল ম্যানেজমেন্ট প্ল্যান, হাওর মাস্টার প্ল্যান, এগ্রিকালচার মাস্টার প্ল্যান ফর সাউদার্ন রিজিওন এবং জাতীয় পানি সম্পদ ব্যবস্থাপনা ইত্যাদি। এ পরিকল্পনাগুলো কাক্সিক্ষত হারে উন্নয়ন কার্যক্রম এগিয়ে নিতে পারছে না। একক পরিকল্পনা বাস্তবায়নে দ্বৈততার সৃষ্টি হয়ে সম্পদের অপচয় হচ্ছে। সে কারণেই ৫০ থেকে ১০০ বছর মেয়াদী একটি সমন্বিত পরিকল্পনা করা হচ্ছে। তাছাড়া দেশের টেকসই খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং সেই সঙ্গে প্রাকৃতিক সম্পদের সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। এতে জলবায়ু পরিবর্তন সংক্রান্ত ইস্যুসমূহ যথাযথভাবে বিবেচনা করে দীর্ঘমেয়াদী এ পরিকল্পনা গ্রহণ করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
ড. শামসুল আলম মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করার সময় বলেন, পানি সম্পদ, ভূমি, কৃষি, জনস্বাস্থ্য, পরিবেশ, পানি ও খাদ্য নিরাপত্তা, অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি এবং ভূ-প্রতিবেশ খাতকে বিশেষভাবে গুরুত্ব দিয়ে উন্নয়ন পরিকল্পনা প্রনীত হবে। বাংলাদেশের ব-দ্বীপ ভূমিতে প্রাকৃতিক সম্পদ খাতের ভবিষ্যত উন্নয়ন প্রশাসন সম্পর্কে একটি দীর্ঘমেয়াদী দৃষ্টিভঙ্গি তৈরি করা হবে। সমন্বিত নীতি উন্নয়ন, সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়া ও বাস্তবায়নের সম্ভাব্য বাধা চিহ্নিত করে করণীয়গুলো বিবেচনায় নিয়ে রোডম্যাপ তৈরি করা হবে। এ পরিকল্পনার সঙ্গে যুক্ত সরকারী সংস্থাগুলোর দক্ষতা ও মান উন্নয়ন এবং সমন্বিত প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামোর আওতায় আনা হবে। পরিকল্পনার ফলে একই কাঠামোর আওতায় সার্বিক সমন্বিত আকারে সকল খাতে এর সুনির্দিষ্ট পলিসি ও প্ল্যান এবং স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদী, পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা এবং প্রেক্ষিত পরিকল্পনার প্রতিফলন ঘটবে। এতে সীমিত সম্পদের মধ্যে কার্যকরভাবে জলবায়ু পরিবর্তন প্রভাব মোকাবেলায় কর্মসূচীসমূহ আরও যৌক্তিক উপায়ে বাস্তবায়নের ব্যবস্থা করা হবে।
অন্যদিকে ভূমি উদ্ধার, রক্ষা এবং ভূমির ব্যবহার নিশ্চিত করতে সহায়তা দেবে নেদারল্যান্ডস। এ লক্ষ্যে বাংলাদেশ সরকার ও নেদারল্যান্ডস সরকারের মধ্যে একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। মঙ্গলবার বিকেলে রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে এ চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। এতে পানি সম্পদমন্ত্রী ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ এবং নেদারল্যান্ডসের অবকাঠামো ও পরিবেশমন্ত্রী মেলেনি সিউলতাজ ভান হাওয়েল স্বাক্ষর করেন।

The World Bank will provide assistance for delta plan

News source: Samakal Bangladesh

ব-দ্বীপ পরিকল্পনায় সহায়তা দেবে বিশ্বব্যাংক
সমকাল প্রতিবেদক
দেশের পানিসম্পদ নিয়ে ১০০ বছরের ব-দ্বীপ পরিকল্পনা (ডেল্টা পল্গ্যান) বাস্তবায়নে সহযোগিতা করবে বিশ্বব্যাংক। এ বিষয়ে সংস্থাটির সঙ্গে সমঝোতা স্মারক সই করেছে সরকার। নেদারল্যান্ডস সরকার এবং ২০৩০ ওয়াটার রিসোর্সেস গ্রুপের (ডবিল্গউআরজি) মধ্যেও এ নিয়ে সমঝোতা হয়েছে। এসব সমঝোতার আওতায় টেকসই ব-দ্বীপ ব্যবস্থাপনা, সমন্বিত পানিসম্পদ ব্যবস্থাপনা, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা এবং জলবায়ু অভিযোজনে বাংলাদেশকে সহযোগিতা করবে উন্নয়ন সহযোগীরা।
গতকাল মঙ্গলবার শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে সরকারের পক্ষে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত তিন বছর মেয়াদি সমঝোতা স্মারকে সই করেন। অন্যদিকে নেদারল্যান্ডস সরকারের পক্ষে দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিলিয়েন প্লুমেন, বিশ্বব্যাংকের পক্ষে প্রোগ্রাম লিডার ড. লিয়া সাইগার্ট এবং ডবিল্গউআরজির পক্ষে অ্যাল্ডারস বার্নটেল সই করেন। অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ (ইআরডি) আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে কৃষিমন্ত্রী বেগম মতিয়া চৌধুরী, পানিসম্পদমন্ত্রী আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, সাধারণ অর্থনীতি বিভাগের সদস্য ড. শামসুল আলম, পরিকল্পনা কমিশনের সচিব সফিকুল আজমসহ সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন।
এ সমঝোতার আওতায় বাংলাদেশ সরকার, নেদারল্যান্ডস এবং বিশ্বব্যাংক গ্রুপের অংশীদারির ভিত্তিতে তথ্য ও অভিজ্ঞতার বিনিময়, যৌথ কর্মকাণ্ড চিহ্নিত ও বাস্তবায়ন এবং অভিজ্ঞতা ও সক্ষমতার সমন্বয় করা হবে। ২০১২ সালে বাংলাদেশ এবং নেদারল্যান্ডসের মধ্যে স্বাক্ষরিত অন্য একটি চুক্তির ওপর ভিত্তি করে এই চুক্তি করা হয়েছে। সমঝোতার আওতায় বাংলাদেশ ডেল্টা পল্গ্যান ২১০০ প্রণয়ন করা হবে। সমঝোতা স্মারকটি সই হওয়ার দিন থেকে কার্যকর হবে এবং তিন বছর মেয়াদে কার্যকর থাকবে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় অর্থমন্ত্রী বলেন, দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনায় নদীর ভাঙনরোধ ও জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলা করা হবে। ব-দ্বীপ পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা গেলে নদীভাঙন যেমন ঠেকানো যাবে, সেই সঙ্গে জলবায়ু পরিবর্তনও সহজে মোকাবেলা করা সম্ভব হবে।
ডবি্লউআরজির নির্বাহী পরিচালক অ্যাল্ডারস বার্নটেল বলেন, এ অংশীদারি ও পরিকল্পনা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ পানিসম্পদের বৃহৎ চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় বিভিন্ন পক্ষ থেকে সম্পদ এবং অঙ্গীকার প্রয়োজন।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, বাংলাদেশ ডেল্টা পরিকল্পনার মূল লক্ষ্য হলো_ ব-দ্বীপ ব্যবস্থাপনায় একটি দীর্ঘমেয়াদি রূপকল্প তৈরি, ভিন্ন ভিন্ন পরিস্থিতির জন্য প্রস্তুতি গ্রহণ ও সাড়া দেওয়া এবং সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোকে চিহ্নিত করে চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় সংগঠিত করা। বেসরকারি খাত ও উন্নয়ন সহযোগীদের সম্পৃক্ত করে একটি দীর্ঘমেয়াদি বিনিয়োগ কর্মসূচি সৃষ্টি করা হবে। গত দশকগুলোতে বাংলাদেশ সরকার প্রাকৃতিক দুর্যোগে ঝুঁকি কমিয়ে আনতে ১০ বিলিয়ন ডলারের বেশি বিনিয়োগ করেছে।
এ উপলক্ষে এক বিবৃতিতে বাংলাদেশে নিযুক্ত বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর জোহানেস জাট বলেন, ভৌগোলিক অবস্থান, দারিদ্র্যের হার এবং জনসংখ্যার ঘনত্বের কারণে বাংলাদেশ জলবায়ু পরিবর্তন এবং এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট অর্থনৈতিক ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। ডেল্টা প্ল্যান ২১০০, ব-দ্বীপের টেকসই ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে এ চ্যালেঞ্জের মোকাবেলা করবে এবং এর মাধ্যমে লাখো মানুষ উপকৃত হবে ও ভবিষ্যৎ প্রজন্ম সুরক্ষা পাবে।
তিন বিষয়কে গুরুত্ব দিয়ে ডেল্টা পল্গ্যান তৈরি করছে জিইডি। এগুলো হচ্ছে নদী ব্যবস্থাপনা, জলাবদ্ধতা দূরীকরণ এবং ভূমি উদ্ধার। এছাড়া পানিসম্পদ, ভূমি, কৃষি, জনস্বাস্থ্য, পরিবেশ, পানি ও খাদ্য নিরাপত্তা, অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি এবং ভূ-প্রতিবেশ খাতকে বিশেষভাবে গুরুত্ব দিয়ে উন্নয়ন পরিকল্পনা তৈরি করা হবে। সমন্বিত নীতি উন্নয়ন, সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়া ও বাস্তবায়নের সম্ভাব্য বাধা চিহ্নিত করে করণীয়গুলো বিবেচনায় নিয়ে রোডম্যাপ তৈরি করা হবে।
বাংলাদেশ ডেল্টা পল্গ্যান ২১০০ শীর্ষক এ পরিকল্পনা তৈরিতে সহায়তা দিচ্ছে নেদারল্যান্ডস। পরিকল্পনা তৈরির জন্য ৪৭ কোটি ৪৭ লাখ টাকা অনুদান দিচ্ছে দেশটি।

WB has connected with Delta plan

News source: Jugantor Bangladesh

ডেল্টা প্ল্যানে যুক্ত হল বিশ্বব্যাংক
যুগান্তর রিপোর্ট
প্রকাশ : ১৭ জুন, ২০১৫
পানিসম্পদ নিয়ে ১০০ বছরের ব-দ্বীপ পরিকল্পনা (ডেল্টা প্ল্যান) বাস্তবায়নে সহযোগিতা করবে বিশ্বব্যাংক। এ লক্ষ্যে সংস্থাটির সঙ্গে বাংলাদেশের একটি সমঝোতা স্মারক সই হয়েছে। মঙ্গলবার রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে টুওয়ার্ডস রেজিলেন্ট অ্যান্ড সাসটেইনেবল ডেল্টা ম্যানেজমেন্ট ফর এ প্রোসপোরাস বাংলাদেশ শীর্ষক এ সমঝোতা স্মারক বাংলাদেশ সরকার, নেদারল্যান্ডস সরকার, বিশ্বব্যাংকের আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা (আইডিএ) এবং ইন্টারন্যাশনাল ফিন্যান্স কর্পোরেশন/২০৩০ ওয়াটার রিসোর্স গ্র“পের (ডব্লিউআরজি) মধ্যে সই হয়। এ সমঝোতার আওতায় টেকসই বদ্বীপ ব্যবস্থাপনা, সমন্বিত পানি সম্পদ ব্যবস্থাপনা, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও জলবায়ু অভিযোজনে সংস্থাগুলো বাংলাদেশকে সহযোগিতা করবে।
বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত ৩ বছর মেয়াদি এ সমঝোতা স্মারকে সই করেন। অন্যদিকে নেদারল্যান্ডস সরকারের পক্ষে দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিলিয়েন প্লুমেন, বিশ্বব্যাংকের পক্ষে প্রোগ্রাম লিডার ড. লিয়া সাইগার্ট এবং ডব্লিউআরজির পক্ষে অ্যাল্ডারস বার্নটেল সই করেন। অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ (ইআরডি) এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। কৃষিমন্ত্রী বেগম মতিয়া চৌধুরী, পানিসম্পদমন্ত্রী আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, সাধারণ অর্থনীতি বিভাগের সিনিয়র সদস্য ড. শামসুল আলম, পরিকল্পনা কমিশনের সচিব সফিকুল আজমসহ সংশ্লিষ্টরা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
সংশ্লিষ্টরা জানান, বাংলাদেশ সরকার, নেদারল্যান্ডস এবং বিশ্বব্যাংক গ্রুপের এ অংশীদারিত্বের মাধ্যমে তথ্য ও অভিজ্ঞতার বিনিময়, যৌথ কর্মকাণ্ড চিহ্নিত ও বাস্তবায়ন এবং অভিজ্ঞতা ও সক্ষমতার সমন্বয় করবে। বর্তমানে সমঝোতা স্মারকের সামগ্রিক উদ্দেশ্য হল বাংলাদেশ সরকার, নেদারল্যান্ডস সরকার, বিশ্বব্যাংক একত্রিত হয়ে শক্তিশালী অংশীদারিত্ব গড়ে তোলা এবং বাংলাদেশের ডেল্টা প্ল্যান ২১০০ প্রণয়ন। সমঝোতা স্মারকটি সই হওয়ার দিন থেকে কার্যকর হবে এবং ৩ বছর মেয়াদে কার্যকর থাকবে।